ফেলে আসা পদ্মার চর
গ্রাজুয়েশনের সময় কাটিয়েছি রাজশাহীতে । বাংলাদেশের শিক্ষানগরী। পড়াশোনার জন্য এমন চমৎকার জায়গা আর হয় না। অবশ্য সিলেট কিংবা চট্টগ্রামের ছাত্ররা কে কি বলবেন জানি না। আমার কাছে পদ্মাপারের রাজশাহী খুবই ভালো লাগত । এখনও লাগে।সময়টা তখন ১৯৯৯ আর আমরা প্রথম বর্ষের ছাত্র । শুধুমাত্র সকালে ক্লাশ। আর হাসপাতালে কোন ক্লাশ নেই থার্ড ইয়ারে ওঠার আগে। আবার সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র আর শনি । তার মানে বৃহষ্পতি বার মানেই ছুটি শুরু। সিপাইপাড়া থেকে পদ্মার আইবাঁধ আমার ক্যাম্পাস থেকে ৫ মিনিটের হাঁটা পথ। দলীয় বিভাক্তির ছাত্ররাজনীতির কপালে তখনও পড়িনি ।তাই ইয়ারমেন্ট বন্ধু-বান্ধবীরা সবাই মিলে পদ্মায যাই। বেশ ভালো লাগে। কখনো কখনো পূর্ণিমা রাতে বৃহস্পতিবারে আমরা রাত ১২টা ১টার দিকে আইবাঁধে গিয়ে চাঁদ দেখতাম। ফিরে আসতাম গভীর রাতে । হোস্টেলে তেমন কোন কড়াকড়ি নিয়ম ছিল না। দেশে তখন ৫৬ না কি ৫৩ ধারা সেটারও প্রয়োগ ছিল না। আমাদের সঙ্গি সাথীদের মধ্যে ছিল শুভ, সাকী ,রাসেল, বয়েজউদ্দিন , আলম আর ডেন্টালের শাহীন।কখনও ককনও আমি যেতাম আমার রুমমেট আজাদ, রানা ,পরিমল, বিপ্লব , সজীব ,মনির ...আরও অনেকে । পরবর্তিতে আমাদের বয়স বাড়তে লাগল । আর বন্ধুরা এক এক জন এক এক ঘরানার রাজনীতিতে যোগ দিতে লাগল । শুরু হলো বিভক্তি। নিজেদের মধ্যে দলাদলি । সে এক বিশ্রী ব্যাপার।২০০১ সালে ক্ষমতার পাট বদলে গেল অক্টোবর মাসে। তার আগেই অবশ্য জুন মাসে আমাদের প্রথম পেশাগত পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। আমরা তখন বাড়িতে বসে রেজাল্টের অপেক্ষায় । পাস করলে শুরু থার্ড ইয়ার শুরু। আর সেই সাথে শুরু হাসপাতালে পদচারণা । আগে তো শুধু কলেজের পড়া এবার শুরু হবে কলেজ আর হাসপাতাল দুই জায়গাতে...। সকালে কলেজে আর সন্ধ্যার পর ওয়ার্ডে কেস দেখা এক্সামিনেশন শেখা ......। রুমে ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত ৯টা।