Monday, February 19, 2007

ফেলে আসা পদ্মার চর

গ্রাজুয়েশনের সময় কাটিয়েছি রাজশাহীতে । বাংলাদেশের শিক্ষানগরী। পড়াশোনার জন্য এমন চমৎকার জায়গা আর হয় না। অবশ্য সিলেট কিংবা চট্টগ্রামের ছাত্ররা কে কি বলবেন জানি না। আমার কাছে পদ্মাপারের রাজশাহী খুবই ভালো লাগত । এখনও লাগে।সময়টা তখন ১৯৯৯ আর আমরা প্রথম বর্ষের ছাত্র । শুধুমাত্র সকালে ক্লাশ। আর হাসপাতালে কোন ক্লাশ নেই থার্ড ইয়ারে ওঠার আগে। আবার সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র আর শনি । তার মানে বৃহষ্পতি বার মানেই ছুটি শুরু। সিপাইপাড়া থেকে পদ্মার আইবাঁধ আমার ক্যাম্পাস থেকে ৫ মিনিটের হাঁটা পথ। দলীয় বিভাক্তির ছাত্ররাজনীতির কপালে তখনও পড়িনি ।তাই ইয়ারমেন্ট বন্ধু-বান্ধবীরা সবাই মিলে পদ্মায যাই। বেশ ভালো লাগে। কখনো কখনো পূর্ণিমা রাতে বৃহস্পতিবারে আমরা রাত ১২টা ১টার দিকে আইবাঁধে গিয়ে চাঁদ দেখতাম। ফিরে আসতাম গভীর রাতে । হোস্টেলে তেমন কোন কড়াকড়ি নিয়ম ছিল না। দেশে তখন ৫৬ না কি ৫৩ ধারা সেটারও প্রয়োগ ছিল না। আমাদের সঙ্গি সাথীদের মধ্যে ছিল শুভ, সাকী ,রাসেল, বয়েজউদ্দিন , আলম আর ডেন্টালের শাহীন।কখনও ককনও আমি যেতাম আমার রুমমেট আজাদ, রানা ,পরিমল, বিপ্লব , সজীব ,মনির ...আরও অনেকে । পরবর্তিতে আমাদের বয়স বাড়তে লাগল । আর বন্ধুরা এক এক জন এক এক ঘরানার রাজনীতিতে যোগ দিতে লাগল । শুরু হলো বিভক্তি। নিজেদের মধ্যে দলাদলি । সে এক বিশ্রী ব্যাপার।২০০১ সালে ক্ষমতার পাট বদলে গেল অক্টোবর মাসে। তার আগেই অবশ্য জুন মাসে আমাদের প্রথম পেশাগত পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। আমরা তখন বাড়িতে বসে রেজাল্টের অপেক্ষায় । পাস করলে শুরু থার্ড ইয়ার শুরু। আর সেই সাথে শুরু হাসপাতালে পদচারণা । আগে তো শুধু কলেজের পড়া এবার শুরু হবে কলেজ আর হাসপাতাল দুই জায়গাতে...। সকালে কলেজে আর সন্ধ্যার পর ওয়ার্ডে কেস দেখা এক্সামিনেশন শেখা ......। রুমে ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত ৯টা।

Wednesday, February 14, 2007

Valentines day

আজ ভ্যালেন্টাইনস্ ডে । শুভেচ্ছা সবাইকে।

Tuesday, February 13, 2007

ফাগুনের প্রথম দিন

আজ ফাল্গুনের প্রথম দিন । আর আগামীকাল ভ্যালেন্টাইন ডে।পরপর ২দিন আনন্দের আর আনন্দ উপভোগের দিন। সকালের আবহাওয়া বেশ ভালো ছিল । ক্লাশ শেষে একটু ঘুমিয়ে বিকালে বেরিয়ে পড়লাম। চারদিকে কত বাসন্তী রঙ। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা আর বড় বড় ছেলে মেয়েরাও দারুণ সব বাঙালী পোশাকে বেরিয়ে এসেছে হাল্কা বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে। আমরা কত উৎসব মুখর। ভাবতেভালো লাগে দেশের এই সংকট কালেও মানুষ তার আত্মিক আনন্দকে জলান্জলী দেয় নি। ঘোরাঘুরি শেষে রাশেদের আহবানে ঢুকে গেলাম পাবলিক লাইব্রেরীতে । সেখানে চলছে মোল্লা সাগরের তৈরী documentary শো। ৩টি প্রামান্য চিত্র দেখানো হলো । বেশ ভালো তৈরী করেছেন । বেশ করে ৩য়টি যেটি তৈরী হয়েছে তৎকালীন ভিসি প্রফেসর আনোয়ার এর আমলে ছাত্রী হলে পুলিশের অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং তৎ পরবর্তী ঘটনা প্রবাহের জের ধরে প্রফেসর সাহেবের পদত্যাগগ নিয়ে। দারুণ সাহসী কাজ করেছেন মোল্লা সাগর। জীয়ো বেটা । তবে একটা কথা না বললেই নয় ...তাহলো দর্শক সারিতে আমাদের সামনে বসা এক যুগলের প্রেমীয় কার্যকলাপ যথেষ্ট পীড়াদায়ক।

Saturday, February 10, 2007

ঘুরে এলাম সিলেট

আমি আর আমার প্রাক্তন রুমমেট শাহীন গত সপ্তাহে ঘুরে এলাম সিলেট থেকে।